চুয়াডাঙ্গার প্রায় প্রতিটি ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে মৌসুমী জ্বর। জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে এ জ্বরের প্রকোপ। এ জ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। আর এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ওষুধের সংকট।
জেলার চারটি সরকারি হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতাল গুলোয় পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
জ্বরের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে- প্রচণ্ড শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, কাশি ও মারাত্মক শারীরিক দুর্বলতা। এমন উপসর্গের কারণে অনেকেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। সুস্থ হলেও দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তি ও ব্যথায় ভুগছেন।
মৌসুমী জ্বরে আক্রান্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রথমে মাথা ও শরীর ব্যথা হচ্ছে। তারপর কাঁপুনি দিয়ে প্রচণ্ড জ্বর, সঙ্গে দেখা দিচ্ছে কাশি। আমি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর আমার স্ত্রী ও সন্তান এ জ্বরে আক্রান্ত হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জেলায় অন্তত ২ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। প্রতিটি হাসপাতালে দৈনিক অন্তত ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে ওষুধ সংকট কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
চিকিৎসকরা বলছেন, মৌসুমি জ্বর আবহাওয়া পরিবর্তন বা অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে হতে পারে। তবে অন্তত সাত থেকে ১০ দিন চিকিৎসা নিতে হবে। জ্বর অনুভব হলে দ্রত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
এ জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকরা আরও বলেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং বিশ্রাম নিতে হবে।
আরও পড়ুন:








