রবিবার

২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

ট্রাম্পের তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফাইজার সিইও

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:১৯

আপডেট: ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২০

শেয়ার

ট্রাম্পের তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফাইজার সিইও
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ওষুধের উচ্চমূল্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য অবস্থানের প্রেক্ষিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম নিয়েছে। এরই মধ্যে খবর এসেছে যে, ওষুধের দাম কমানোর নির্দেশ দেওয়ার একদিন পরই ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলা ট্রাম্পের আয়োজিত একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বৃ্‌হস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৭টি প্রধান ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে একটি চিঠি পাঠান। এতে তিনি দাবি করেন, যেন তারা আমেরিকান মেডিকেইড রোগীদের ও নতুন ওষুধগুলোকে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতো ‘সবচেয়ে কম দামে’ সরবরাহ করতে সম্মত হয়। এর ঠিক পরদিনই, ফাইজার প্রধান আলবার্ট বোরলার নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে ট্রাম্পের গলফ ক্লাবে আয়োজিত একটি ২৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ডরেইজিং অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা জানায় একাধিক সূত্র।

এই ফান্ডরেইজিং ইভেন্টটি মূলত ট্রাম্পপন্থী সুপার পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি ‘ম্যাগা ইনক’(MAGA Inc.)-এর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে, যা এবারের নির্বাচন মৌসুমের অন্যতম বৃহৎ অর্থসংগ্রহ কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত। সিবিএস নিউজ জানায়, আলবার্ট বোরলা এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে, যদিও বিষয়টি নিয়ে ফাইজার এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।

চিঠিতে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ‘সবচেয়ে অনুকূল জাতির দামে’ (মোস্ট ফেভারড নেশন) ওষুধ সরবরাহ করতে হবে—অর্থাৎ সেই দেশগুলোর দামে, যেখানে ওই ওষুধ সবচেয়ে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল ( Truth Social)-এ এসব চিঠি প্রকাশ করেন এবং অভিযোগ করেন যে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তার পূর্ববর্তী নির্বাহী আদেশের পরও কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়নি। ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছিল, যদি তারা ব্যবস্থা না নেয়, তবে সরকার নিজে মূল্য নিয়ন্ত্রণের নিয়ম প্রণয়ন করবে।

এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। এমনকি অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও। খুব শিগগিরই আমাদের বড় ধরনের সাফল্য আসবে। আমি প্রত্যাশা করি, ওষুধের দাম ৫০০, ৬০০, এমনকি ১২০০ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসবে।”

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের উচ্চমূল্য রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। দেশটিতে রোগীরা প্রায়শই উন্নত অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বহুগুণ বেশি মূল্য দিয়ে ওষুধ কিনে থাকেন, যা জনঅসন্তোষ বাড়িয়ে তুলেছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি।



banner close
banner close