
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। হাসপাতালটিতে শুধুমাত্র রেলওয়ে কর্মচারীদের সেবা দিয়ে আসছিলো। হাসপাতালটি বুধবার বিকেলে পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার বল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে যুগ্ম সচিব ড. মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সারাদেশে সুষম স্বাস্থ্যসেবা নিষ্চিত করতে চায় সরকার। এ কারণে দেশের ১০টি রেলওয়ে হাসপাতালকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত করে চিকিৎসাসেবা উন্মুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রেলের এসব হাসপাতালের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক রোগ নির্ণয় যন্ত্রপাতি স্থাপন ও লোকবল নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমরা এ কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালটি দেখতে এসেছি।
এর আগে তিনি হাসপাতালটির বহির্বিভাগ ও আভ্যন্তরীণ বিভাগ, অপারেশ থিয়েটারসহ অন্যান্য অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। তিনি হাসপাতালটিতে পৌছলে রেলওয়ের বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা (ডিএমও) আনিসুল হক তাঁকে স্বাগত জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী প্রমুখ। এরপর যুগ্ম সচিব রেলওয়ে নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
পরে স্বাস্থ্য ও পরিবার বল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান চীনের প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত জায়গা নীলফামারীর দারোয়ানী সুতাকল এলাকার জায়গা পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি পার্বতীপুর রেলের হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: