সোমবার

১৬ জুন, ২০২৫
২ আষাঢ়, ১৪৩২
২০ , ১৪৪৬

সেপ্টেম্বরে আসছে রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:০৩

শেয়ার

সেপ্টেম্বরে আসছে রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা
প্রতীকী ছবি।

মারণব্যাধী ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকরী টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে রাশিয়া। বিশেষত স্তন, কিডনি ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে এই টিকা। এ বছরের সেপ্টেম্বরেই টিকাটি বিশ্ববাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসকে জানিয়েছেন টিকাটির আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ।

বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা স্পুটনিক-৫ আবিষ্কার করেছিল এই প্রতিষ্ঠান। করোনা মহামারির মোকাবিলায় বিশ্বের ৫৫টিরও বেশি দেশে গামালিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ ব্যবহৃত হয়েছিল।

আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানান, ইতোমধ্যে তারা ক্যান্সারের চিকিৎসায় এ টিকার ব্যবহারের জন্যে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েছেন। সম্ভবত আগস্ট মাস শেষ হওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। সুতরাং সেপ্টেম্বর থেকেই চিকিৎসাক্ষেত্রে রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি এই টিকাটি হবে বিশ্বের প্রথম ক্যান্সারের টিকা, যা এমআরএনএ (MRNA) প্রযুক্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এমআরএনএ হলো প্রোটিনজাত পদার্থ, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়, যাতে কোনো বিশেষ রোগ বা অসুস্থতার বিরুদ্ধে শরীর লড়তে পারে। যেসব ব্যক্তি ইতোমধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে বা যাদের নতুন ক্যান্সার ধরা পড়েছে, তাদের এই টিকা দেয়া হবে।

আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আরও জানান, টিকার মূল ওষুধ মানবদেহে প্রবেশের অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ করতে শুরু করবে। এটি মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও প্রশিক্ষিত করে তুলবে। যেটি প্রথমেই ক্ষতিকারক ক্যান্সার কোষগুলোকে শনাক্ত করবে এবং ধ্বংস করে দেবে। ক্যান্সারের সাধারণত ৩ টি স্তর থাকে- প্রাথমিক, মধ্যম ও চূড়ান্ত। তবে প্রাথমিক স্তরে এই টিকা সবচেয়ে বেশি কাজ করবে। পাশাপাশি মধ্যস্তরের ক্যান্সার রোগীরাও এই টিকার মাধ্যমে উপকৃত হবেন।

২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ায় ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ। প্রতি বছর রাশিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ৬ লাখ ২৫ হাজার মানুষ।

banner close
banner close