সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসের বিভিন্ন দেশে গায়েবানা জানাজা, শোক সভা, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জয়পুরহাটে দুপুর আড়াইটায় ক্ষেতলাল উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং সাড়ে তিনটায় তুলশীগঙ্গা ইউনিয়নের আটি দাশরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক আপসহীন সংগ্রামী নেত্রী।
খুলনায় মহানগর বিএনপি ও খুলনা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জুর উদ্যোগে পৃথকভাবে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলীয় নেতাকর্মীরা আবেগঘন পরিবেশে মরহুমার রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন।
নীলফামারীতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। নেতারা বলেন, জাতি এক সাহসী ও প্রজ্ঞাবান নেত্রীকে হারিয়েছে।
এছাড়াও আজ রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গায়েবানা জানাজা, শোক সভা, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
অন্যদিকে প্রবাসেও বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক পালন করা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিএনপির উদ্যোগে খতমে কোরআন, শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, মালয়েশিয়া ও ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা পৃথকভাবে শোক সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
সারাদেশ ও প্রবাসে আয়োজিত এসব কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক অবিস্মরণীয় নেত্রী। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
সব কর্মসূচি শেষে মরহুমা বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন:








