ইংরেজি বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসব ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ঘিরে পর্যটননগরী কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১০টি চেকপোস্ট, ৭টি বিশেষ টিমসহ পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি উৎসব উদযাপন নিয়ন্ত্রণে ঘোষণা করা হয়েছে ৭ দফা বিধিনিষেধ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের ফোকাল পয়েন্ট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটন এলাকাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট, টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ২টি মোবাইল টিম, ৭টি টহল টিম এবং ৪টি মোটরসাইকেল টিম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) দেবদূত মজুমদার জানান, শহরের প্রবেশপথে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। মাদকসহ কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী বহন রোধে সন্দেহভাজনদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি মহাসড়কের নিরাপত্তায় কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।
মালুমঘাট ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান সুমন বলেন, সড়ক পথে আগত পর্যটক ও সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
এর আগে সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে সাতটি বিধিনিষেধ জারি করে জনসাধারণকে তা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
বিধি-নিষেধগুলো হলো-
১. সৈকত ও শহর এলাকায় আতশবাজি, পটকা ফাটানো এবং ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রীর বিক্রি ও বিপণন কেন্দ্রগুলোও বন্ধ থাকবে।
২. উন্মুক্ত স্থানে বা রাস্তায় কোনো কনসার্ট, নাচ বা গানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।
৩. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ধরনের গুজব, অপপ্রচার বা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো, রেসিং বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।
৬. নারী পর্যটকদের উত্ত্যক্ত করা বা ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৭. হোটেল-মোটেলের ইনডোর প্রোগ্রামের তথ্য এবং যে-কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে পুলিশকে (ডিএসবি) অবহিত করতে হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সৈকত, হোটেল-মোটেল জোন, পর্যটন স্পট ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে দ্রুত পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:








