ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী নায়েবে আমীর ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো.তাহের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সোমবার(২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা'য় জামায়াত প্রার্থী ডা. তাহের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আমিনের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর এড.মোহাম্মদ শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারী বেলাল হোসেন, পৌর আমীর মাওলানা ইব্রাহীম, সাবেক চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমীর বীরমুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। নির্বাচিত হতে পারলে দুর্নীতি নির্মূল, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখব। কুমিল্লা -১১ (চৌদ্দগ্রাম)আসনের মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে আমার প্রধান অঙ্গীকার।
জামায়াত নেতা ডা. তাহের আরও বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, নারীদের মর্যাদা ও মানোন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। সমাজের সুধীজন, শ্রমজীবী মানুষ ও সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতায় একটি সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে চাই। এ সময় তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন। কুমিল্লা-১১ সংসদীয় আসনে জামায়াত প্রার্থী ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি'র) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আহ্বায়ক কামরুল হুদা।
চৌদ্দগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান ডা.তাহের। যারা বলেছিলেন নির্বাচন হবে না অনিশ্চিত তাদের এই ষড়যন্ত্র প্রাথমিক ভাবে আজ বানচাল হল। এ নির্বাচনে জনগণ স্বস্তঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ গ্রহন করে তাদের রায় নিশ্চিত করবে। ত্রয়োদশ নির্বাচনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল-২০২৬ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেই, বিএনপি একা হয়ে পড়েছে, ২৪'এর জুলাই চেতনাধারীদল এনসিপি,এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামীদল গুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ-সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষতা থেকে ভূমিকা রাখবেন। শেখ হাসিনা পালানোর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হওয়ার পরবর্তীতে এদেশে যারা লুটপাট -চাঁদাবাজিরসহ দখলদারী করেছে তাদের কে এদেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। এ দেশের জনগণ দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে চায়। এদেশের মানুষ আর হাওয়া ভবন দেখতে চায় না।
আরও পড়ুন:








