বৃহস্পতিবার

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০ পৌষ, ১৪৩২

পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা, ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৪

শেয়ার

পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা, ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য
ছবি: বাংলা এডিশন

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের অবকাশে পর্যটকের ঢল নেমেছে পটুয়াখালীর অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ভ্রমণপিয়াসু মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে গোটা সৈকত এলাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ লাল কাঁকড়ার চর, গঙ্গামতি সৈকত, জিরো পয়েন্ট ও শুঁটকিপল্লীসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে চোখে পড়েছে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতি। কেউ ঢেউয়ের ছোঁয়া উপভোগ করছেন, কেউ আবার পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে স্মরণীয় মুহূর্ত ধরে রাখতে ব্যস্ত ছবি তুলতে। অনেককে দেখা গেছে ছাতা ও বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

পর্যটকের বাড়তি উপস্থিতিতে প্রাণ ফিরেছে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও পর্যটনসেবাভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। দীর্ঘদিনের স্থবিরতার পর বড়দিনের ছুটিকে ঘিরে ব্যবসায়িক চাঞ্চল্যে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক ও সরকারি কর্মকর্তা সুমন জানান, বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সময় পাওয়ায় পরিবারসহ কুয়াকাটায় ভ্রমণে এসেছেন। একইভাবে রাজশাহী থেকে আগত পর্যটক রকিব বলেন, লাল কাঁকড়ার চর ও গঙ্গামতি সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করেছে এবং আরও কয়েকদিন অবস্থান করে সব দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার ইচ্ছা রয়েছে।

বরিশালের বানারীপাড়া থেকে আসা পর্যটক মানিক বলেন, বড়দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় এসে বেশ আনন্দঘন সময় কাটাচ্ছেন।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, বর্তমানে প্রায় সব হোটেল-মোটেলই বুকিংয়ে পূর্ণ। পর্যটকদের এই সমাগমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে বলে তারা আশাবাদী।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ একযোগে মাঠে কাজ করছে।

সবমিলিয়ে বড়দিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে, যা পর্যটননির্ভর এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।



banner close
banner close