চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনার জেরে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শনিবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আজাইপুর গ্রামের মো. সাদরুল ইসলামের ছেলে মো. ফুয়াদ হাসান সাগর, একই এলাকার মো. হানিফ আলীর ছেলে মো. নয়ন আলী এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চব্বিশনগর দক্ষিণ পাড়ার আজাহার আলীর ছেলে মো. মেহেদী হাসান।
এছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ছয়জন কিশোরকে। তারা হলো, নিয়ামতনগর গ্রামের মো. শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. আনাম আলী, আরামবাগ এলাকার মো. গাফফারের ছেলে মো. আবু রায়হান, শ্রীমকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. নবাব আলীর ছেলে মো. নবী, দুর্গাপুর মিয়াপাড়া এলাকার মো. গোলাম রাব্বানী দুল্লালের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ আল সাফি, শাহীবাগ এলাকার মো. জসিম উদ্দীনের ছেলে মো. জিসান আলী এবং রামকুইপুর গ্রামের তোষরেজুলের ছেলে মো. সিয়াম আলী। সকলেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থানা ও জেলার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ সড়কের সার্কিট হাউস মোড়ে রিফাত আলী ও সোহাগ আহমেদ বহনকারী একটি মোটরসাইকেল থামার সংকেত দেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের সংকেত উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই রিফাত আলী এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগ আহমেদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়।
আসবাবপত্র বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া শান্তিবাগ এলাকার পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় এবং সেখানে থাকা একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া করে।
আরও পড়ুন:








