যশোরের আলোচিত যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে রাজধানী ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার তাকে যশোরে নেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তিনি যশোর জেলায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং শহরের পুরাতন কসবা এলাকার বাসিন্দা। তিনি শেখ রোস্তম আলীর সন্তান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিলনের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক দ্রব্য, সন্ত্রাস ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।
এর আগেও একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন মিলন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি দুবাই থেকে পরিবারসহ দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় তিন সহযোগীসহ আবারও আটক হন তিনি।
ডিবির ওসি মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মিলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ ওঠে এবং সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে যশোরে নিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকায় যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মিলন অন্যতম আসামি। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবনে বোমা হামলার ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। ওই হামলাটি তার নেতৃত্বেই সংঘটিত হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, যশোর শহরের পালবাড়ী মোড়ে একটি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া পরিচালনার অভিযোগও ছিল মিলনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:








