জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহায়ক (পিয়ন) মাহবুব হোসেন এর গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে এবং বিকেলে অফিস এর একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক।
নিহত মাহবুব আলম বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বটিয়া গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে তিনি প্রায় ছয় বছর ধরে ক্ষেতলাল সমাজসেবা কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব আলম সমাজসেবা কার্যালয়ের একটি কক্ষে থাকতেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোয়াজ্জিম হোসেন গত বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর বাড়িতে চলে যান। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। এ জন্য কার্যালয়টির জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য মাহবুবের মুঠোফোনে কল দেন মোয়াজ্জিম হোসেন। কিন্তু তিনি মাহবুবকে মুঠোফোনে পাননি।
পরে আরেক নারীকে ফোন করে বিষয়টি জানান মোয়াজ্জিম। ওই নারী কার্যালয়ে গিয়ে ভেতর থেকে তালা বন্ধ দেখে মাহবুবকে ডাকাডাকি করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে সমাজসেবা কর্মকর্তার কক্ষের জানালা খুলে দেখেন, মাহবুব ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
এবিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:








