মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষ, বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার লতুব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতুব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমানের সঙ্গে পূর্ব রামকৃষ্ণদী গ্রামের মো. জহিরের হাউজিং প্রকল্প ও মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শুক্রবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জহির গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষ চলাকালে টেঁটা, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা খলিলুর রহমানের সমর্থক রামকৃষ্ণদী গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে হামলাকারীদের টেটার আঘাতে সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমানসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
সিরাজদিখান থানার ওসি এম এ হান্নান জানান, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:








