শেরপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসর এবং ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদি হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে আলটিমেটাম দিয়েছে জুলাই যোদ্ধারা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর শহীদ স্কয়ারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও ওসমান হাদি হত্যাকারীকে গ্রেফতারের এই ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুরের মুখ্য সংগঠক সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী মোর্শেদ জিতু সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানাকে বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর যদি ফ্যাসিস্টরা এই শহরে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু পুলিশ গ্রেফতার করছে না; তাহলে আমরাই ধরবো, এতে যদি ফ্যাসিস্টের কিছু হয় তাহলে এর পুরো দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে। আমরা এখন থেকে আর সুশীতলতায় থাকতে চাই না। আমরা ফ্যাসিবাদী বিরোধী জুলাই ঐক্য এক হয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দূর করবো।
ওসি সোহেল রানাকে জিতু আরও বলেন, আজকের পর হতে আমরা যেনো শেরপুরের জমিনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বা ফ্যাসিবাদী শক্তি চলাফেরা করছে, ঘোরাফেরা করছে; আমরা এগুলো বরদাস্ত করবো না। ফ্যাসিবাদী শক্তিকে যারা অর্থ যোগান দিচ্ছে, মহিলা যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বয়ান বাস্তবায়ন করতেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা আমাদের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, আর যদি না হয় তাহলে শেরপুরের মাটিতে আবার জুলাই আন্দোলন হবে।
এছাড়াও পরে সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদি হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে আলটিমেটাম বেঁধে দেন এ জুলাই যোদ্ধারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুরের আহবায়ক মামুনুর রহমান, মুখপাত্র আনন্দমোহন কলেজের শিক্ষার্থী ফারদিন ফুয়াদ তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মনিবুল ইসলাম, এনসিপির জেলা আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল হাসান দেওয়ান, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিবলু, জেলা যুব শক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহনূর রহমান সাঈম, জুলাই যোদ্ধা আরাফাত রহমান তালুকদার, শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও সাধারণ জনতা।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:








