বাঁশখালীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে একাধিক মামলার আসামি ও উপজেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী এলাকার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল জব্বার ওই এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাহার উল্লাহ পাড়ার গনু মিয়ার ছেলে। তিনি বাঁশখালী পৌরসভা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি এবং উপজেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় রাসেল স্মৃতি সংসদেরও সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে গত আগস্ট মাসে দায়ের হওয়া ২৩(৮)২০২৪ নম্বর মামলায় তিনি ৮ নম্বর এবং ২৭ আগস্ট দায়ের হওয়া ১৯ নম্বর মামলায় ১১৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, গুরুতর জখম, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, চুরি এবং বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর প্রচার হওয়ার পর আব্দুল জব্বার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন মহল থেকে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি ওঠে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ সাইফুল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ সুনির্দিষ্ট একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন:








