ফেনীর শর্শিদি ইউনিয়নে গভীর রাতে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাংক শাখার ভেতরে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কে বা কারা এই অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ফেনী জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব বদরুদ্দোজা নোবেল অভিযোগ করে বলেন,
“আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছে। ৫ আগস্টের পর পরাজিত শক্তি দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এখনো বন্ধ হয়নি। আমরা এসব শক্তিকে কঠোর হাতে দমন করব।”
জাতীয় ছাত্র শক্তি ফেনী জেলার নেতা সৌরভ হোসেন সাকিল দৈনিক এদিন-কে বলেন,
“ফেনীর শর্শিদি গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। আমরা দেখছি, দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। জুলাই মাসে আমাদের এক বোনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, একই দিন হাদী ভাইয়ের মাথায় গুলি চালানো হয়। এসব ঘটনার পেছনে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা জড়িত। আমরা ফ্যাসিস্ট শক্তিকে স্পষ্ট করে বলতে চাই—এই কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে হবে।”
এ বিষয়ে ফেনী জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)-এর অফিসার ইনচার্জ মর্মসিং ত্রিপুরা জানান,
“আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনার কাজ চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন:








