প্রায় ১৮ বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে গ্রোথ সেন্টার মার্কেট। সরকারি টাকা ব্যয় ছাড়া আর কোনো কাজেই আসেনি এই কোটি টাকার প্রকল্পের। কাজ শেষ হওয়ার পরে নাম মাত্র উদ্ভোদন হয়েছিলো এ প্রকল্পটি। কাগজে কলমে কোটি টাকার প্রকপ্ল থাকলে ও সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসেনি এই গ্রোথ সেন্টারের এমনটা জানিয়েছেন স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি।
নির্মাণের পর আজোবধি এই মার্কেটটি চালু না হওয়ায় ও অব্যবস্থাপনার কারণে এখন গরু ও ছাগলের অবাধ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
২০০৮ সালে উপজেলা সদরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর পাশে নির্মিত হয় এই মার্কেটটি। মার্কেটটিতে নারী বিক্রেতাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত মহিলা বিপনী বিতান, মাছ, মাংস ও সবজি বিক্রির জন্য আলাদা আলাদা শেড; একটি কসাইখানা, সুপেয় পানির জন্য একটি টিউবওয়েল, বৈদ্যুতিক পাম্প ও পানির ট্যাঙ্ক ও টয়লেট রয়েছে।
এত সুযোগ সম্পন্ন একটি মার্কেট থাকার পরেও শুরু থেকেই তালাবদ্ধ পড়ে আছে তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন অপরিকল্পিতভাবে এই গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।বাজার থেকে বাহিরে হওয়ার কারনে ব্যবসায়ীরা যেতে চায় না এমনটা জানিয়েছেন একাধিক ব্যনসায়ী।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান,এতো সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন ও মূল্যবান একটি মার্কেট থাকা স্বত্তেও আজোবধি এটি চালু করা হয়নি। এটি চালু না হওয়ায় উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে ও শরীফপুর ব্রীজের গোঁড়ায় মাছ ও সবজি বাজার থাকায় সারাদিনই যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া বাজারের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ প্রতিনিয়তই দূষিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার(১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রোথ সেন্টার মার্কেটের বিভিন্ন শেডে গরু ছাগল পায়চারি করছে। মহিলা বিপনী বিতানের দোকানঘর নামে বেনামে বিভিন্ন মানুষ ভোগ দখল করছেন। পরিত্যক্ত শেডে মাদকসেবী ও জুয়ারীদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, “আমি ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালে একাধিক বার এই মার্কেটটি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অসহযোগিতার কারণে মার্কেটটি আর চালু করা যায়নি। সামনে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে এই মার্কেটটি চালু করার উদ্যোগ নেব।”
এলজিইডি'র দোয়ারাবাজার উপজেলার উপসহকারি প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন বলেন, “আমি শুনেছি আগে একাধিক বার এই মার্কেট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় মাছ ও সবজি ব্যবসায়ীরা এখানে আসতে আগ্রহী না হওয়ার কারণে এই মার্কেটটি নির্মাণের পর আর চালু করা যায়নি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ জানান, “স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করলে এই মার্কেটটি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।”
আরও পড়ুন:








