একজন সাংবাদিক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে স্যার না বলে ডাকলেন ভাই বলে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হলেন তিনি। ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহাজান আলী।
তিনি বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট এলাকায় বেড়াতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রফিকুল ইসলাম স্ব পরিবারে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট এলাকায় বেড়াতে যান। সাথে ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী। এ সময় চ্যানেল 24 ও বাংলা এডিশনর চুয়াডাঙ্গা রিপোর্টার রেজাউল করিম লিটন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাজাহান আলীকে ভাই বলে সম্বোধন করলে তিনি ক্ষুব্ধ হন। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনি তো সাংবাদিক, একজন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ভাই বললেন। সম্মান করতে শেখেন। এ সময় তার কথায় হতবাক হয়ে যান উপস্থিত সকলে। অনেকেই মন্তব্য করেন, সাংবাদিক কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেটের অধস্তন কর্মচারী নন, ফলে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করতে বাধ্য নন। অনেকেই আরো বলেন, জুলাই বিল্পবের পর সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে ‘স্যার’ বলতে এদেশের জনগন বাধ্য নন।
উল্লেখ্য, মোঃ শাহাজান আলী সম্প্রতি মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদ থেকে বদলি হয়ে চুয়াডাঙ্গায় একই পদে যোগদান করেছেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার পাশের জেলা ঝিনাইদহে হরিনাকুন্ডে। চুয়াডাঙ্গায় তার শুশ্বর বাড়ি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধনের নিয়ম বাতিল করে। সেই প্রেক্ষাপটে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার এমন আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সাংবাদিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, পেশাগত মর্যাদা এবং প্রশাসনের আচরণগত শালীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:








