বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

মৃত্যুর দুই দিন পর মরদেহ ফেরত দিলো ভারত

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:২৪

শেয়ার

মৃত্যুর দুই দিন পর মরদেহ ফেরত দিলো ভারত
ছবি: বাংলা এডিশন

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ভারত সীমান্তে মৃত্যুর দুই দিন পর বাংলাদেশি নাগরিক আহাদ মিয়া (৪০)-এর মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের লাফার্জ সীমান্ত দিয়ে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে।

নিহত আহাদ মিয়া উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের আপ্তর আলীর ছেলে। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ভারতের মেঘালয়ের কালাটেক বস্তি এলাকা থেকে আহাদ মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, “লাশ বুঝে পেয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।”

জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে আহাদ মিয়া নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়িক কাজে বের হন। পরে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মাধ্যমে জানতে পারেন, ভারতের মেঘালয়ের কালাটেক বস্তি সীমান্ত এলাকায় একটি লাশ পাওয়া গেছে। পরে বিএসএফের সহযোগিতায় লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে বিজিবি। ওই দিন বিকেলে ভারতের চেলা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলং টাউন সরকারি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বুধবার আহাদ মিয়ার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত দেয় বিএসএফ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহাদ মিয়া সীমান্ত এলাকায় গরু-মহিষের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ব্যবসায়িক লেনদেনসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আততায়ীর হাতে তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।



banner close
banner close