জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সরকারি পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল বাসার আব্দুল্লাহ। সে ক্ষেতলাল মালীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা, দিনমজুর হাসান আলীর ছেলে। চলতি শিক্ষাবর্ষে সে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলো।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আর্থিক সংকটের কারণে হাসিবুল নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারেনি। পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় তার মা লাভলী আক্তার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে সেশন ফি ও পরীক্ষার ফি বাবদ মোট এক হাজার ৬২০ টাকা পরিশোধের কথা জানানো হয়। তবে অর্থের অভাবে ওই টাকা জোগাড় করতে না পেরে তিনি আর বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা লাভলী আক্তার জানান, তার স্বামী ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তিনি কাজের সন্ধানে বগুড়ায় চলে যান এবং ছেলে আব্দুল্লাহকে বাবা-মায়ের কাছে রেখে যান। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় ছেলে পরীক্ষায় বসতে পারেনি।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর নানি সুফিয়া বেগম এক হাজার টাকা জোগাড় করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতির জন্য বিদ্যালয়ে আবেদন করলেও তাতেও কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। ফলে হাসিবুল বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
হাসিবুল বাসার আব্দুল্লাহ জানায়, সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে চায়, কিন্তু অর্থের অভাবে সপ্তম শ্রেণিতেই আটকে পড়েছে। সহযোগিতা ছাড়া তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হবে বলে সে জানায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলফিকার রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীর পরিবার যথাযথভাবে লিখিতভাবে যোগাযোগ করেনি। বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে এ বছর অনেক শিক্ষার্থীকে সহায়তা করা হয়েছে। আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রেও আবেদন করা হলে সহায়তা করা যেতো।’
তবে ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগের সাথে আব্দুল্লাহর পরীক্ষার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন:








