চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মাদকাসক্ত ছেলে টুটুল মিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন বাবা রফিক হোসেন। ছেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে সুপথে ফেরাতে তিনি এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাটি সচেতন মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জীবননগর উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামের বাসিন্দা রফিক হোসেনের ছেলে টুটুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। তিনি প্রতিনিয়ত বাড়িতেই মাদক সেবন করে পরিবারে উচ্ছৃঙ্খলতা ও অশান্তি সৃষ্টি করতেন।
ছেলের এমন মাতলামি সহ্য করতে না পেরে সোমবার দুপুরের দিকে বাবা রফিক হোসেন নিজেই ছেলেকে ধরে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে নিয়ে যান।
ইউএনও মো. আল-আমীন অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টুটুল মিয়াকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ছেলের প্রতি এমন কঠোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাবা রফিক হোসেন বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে সে মাদক সেবন করে পরিবার ও সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করছিল। শত চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। বাধ্য হয়েই তাকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনের হাতে তুলে দিয়েছি।
সচেতন মহল মনে করছেন, মাদকের গ্রাস থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে অভিভাবকদের এমন কঠোর ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন:








