ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা'র শাহবাজপুর ইউনিয়নে'র পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু মাইমুনা আক্তার ময়না হত্যাকাণ্ডের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও হয়নি রহস্য উদঘাটন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ঘিরে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা ও হতাশা। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সন্দেহজনক হিসেবে কারাগারে রয়েছে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ময়না হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই'র) এস আই মোঃ বিল্লাল হোসেন বাংলা এডিশন'কে বলেন, দ্রুত রহস্য উদঘাটন করার লক্ষ্যে'ই কাজ করছে পিবিআই। নিহত ময়নার শরীরে একজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেলেও আটক ইমাম কীংবা মুয়াজ্জিনের ডিএনএ'র সঙ্গে তার মিল নেই।
ইতিমধ্যে আরও ২২ জনের ডিএনএ পাঠানো হয়েছে, তবে রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে খোলামেলা কোনোকিছু বলা যাচ্ছে না। এবং এখনো তেমন কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।
এ বিষয়ে নিহত ময়নার বাবা ও মামলার বাদী প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক বাংলা এডিশন'কে বলেন, মামলার তদন্ত এখনো চলছে। প্রথমবার ২২ জনের ডিএনএ পাঠানো হয়েছে এবং নতুন করে আরও ৫০ জনের ডিএনএ পাঠানো হবে, পিবিআই'র সঙ্গে থেকে তদন্তে যতটুকু করার আমি সহযোগিতা করছি। মামলার অগ্রগতির সম্পর্কে পিবিআই'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আটক ইমাম ও মুয়াজ্জিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মামলায় সরাসরি তাদের আসামি দেখানো হয়নি। তারা নির্দোষ না-কি দোষী এটা ত আমি বলতে পারছি না। তদন্তে কি আসে আমরা সকলেই তার অপেক্ষায় আছি।
এসময় ইউটিউবারদের উদ্দেশ্য করে ময়নার বাবা বলেন, আমি আসলে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয় না কারণ কিছু ইউটিউবার আমাদের বক্তব্য কাট করে অপপ্রচার করে আমার ও আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ণ করছে।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বাংলা এডিশন'কে বলেন, পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলে বিস্তারিত বলতে পারবো।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের (৬ জুলাই) নিখোঁজের এক দিন পর বাড়ির পাশের মসজিদের দোতলা থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু মাইমুনা আক্তার ময়নার বিবস্ত্র মরদেহ। ঘটনার পর থেকেই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখার অপেক্ষায় জনতা।
আরও পড়ুন:








