কোরআন অবমাননা ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার আসরের নামাজের পর ‘কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্স’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে তৌহীদি জনতার অংশগ্রহণে এলাকায় উত্তেজনা ও ক্ষোভের বিরাজ লক্ষ্য করা যায়।
মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে বক্তারা বাউল আবুল সরকার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোরআন অবমাননাকারী যুবকের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। কর্মসূচিতে পৌরসভার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেমসহ কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কুয়াকাটা সাগরপাড় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মোস্তফা কামাল, কুয়াকাটা বাইতুল আরোজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান, ইমাম কারী মো. নজরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, হাফেজ মো. হুমায়ুন কবির, ঘটলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোবাশ্বের হোসেন, হাফেজ মশিউর রহমান, স্টুডেন্ট এলায়েন্সের সদস্য মুজাহিদ সিফাত, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করা হলে দ্রুত মামলা ও গ্রেফতারের ব্যবস্থা হলেও আল্লাহ ও কোরআন নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব হচ্ছে। তারা বলেন, ভ্রান্ত মতাদর্শের কিছু বাউল চক্র ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলেও কেউ কেউ তাদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে—যা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জন্য লজ্জাজনক।
ইমামরা আরও বলেন, “মুসলিম পরিচয়ে যারা আল্লাহ ও মহানবীর অবমাননাকে উৎসাহ দেয় বা সমর্থন করে, তাদের চরিত্র ও পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। এরা দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইহুদি-খ্রিষ্টান ও ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্রের স্বার্থে কাজ করছে।”
বক্তারা আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে জাতির সামনে সঠিক উদাহরণ স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন:








