শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, "বন্ধ থাকা চিনি কলগুলো ফান্ড পেলেই চালু করা হবে। আমরা সে লক্ষ্যে ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা করছি।" তিনি আরো বলেন, চিনি শিল্পকে লাভজনক পর্যায়ে আনতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে চিনিকলগুলো আধুনিকরণ করা হচ্ছে এবং উন্নত জাতের আখ বীজ উদ্ভাবনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন যে, বিভিন্ন চিনিকলের চিনি গুদামজাত হয়ে থাকে। সরকার যেটা উদ্যোগ নিয়েছে যে, বাংলাদেশের উৎপাদিত চিনি যতদিন গুদামজাত থাকবে ততদিন চিনি আমদানি করবে না । এ কারণেই চিনি টিসিবির মাধ্যমে এখন বাজারজাত করা হচ্ছে। আমরা আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছি চিনিকলের অস্থায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে দেশের ঐতিহ্যবাহি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকলের আখ মাড়াই মওসুম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনের আগে তিনি কেরু চিনিকলের আধুনিকায়ন করা নতুন কারখানাটি ঘুরে দেখেন।
চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে এই মাড়াই কার্যক্রমের সূচনা করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
চলতি মাড়াই মওসুমে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর চিনিকলে ৭৬ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২’শ ৫৬ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। চিনিকলটি প্রতিদিন গড়ে ১১’শ ৫০ টন আখ মাড়াই করবে। ৭০ থেকে ৭৫ দিন সচল থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিএসএফআইসি'র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রাশিদুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ মোহাম্মদ রেজাউল হক (পিপিএম), চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কেরু এন্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাব্বিক হাসান।
অনুষ্ঠানে সাতজন আখচাষীকে সর্বোচ্চ আখ উৎপাদনকারী চাষী হিসেবে মিল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন:








