মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০ পৌষ, ১৪৩২

বাংলাদেশে এখন আর সেই স্বৈরাচারী মনোভাব চলবে না: সাদিক কায়েম

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪২

শেয়ার

বাংলাদেশে এখন আর সেই স্বৈরাচারী মনোভাব চলবে না: সাদিক কায়েম
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, দিল্লি ও লন্ডনের প্রেসক্রিপশনের দিন শেষ, আগামীর দেশ দাঁড়িপাল্লার ন্যায় ও ইনসাফের। বাংলাদেশের সকল ইতিহাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কল্যাণের সকল আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছে। আর সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণরা আজ ইনসাফের পক্ষ নিয়েছে। ‘এই বাংলাদেশে এখন আর লন্ডনের প্রেসক্রিপশন ও দিল্লির রাজত্ব চলবে না। ’২৪ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী কাঠামো আর চলবে না। কেউ করতে চাইলে খুনি হাসিনার যে পরিণতি হয়েছে, তার চেয়ে খারাপ পরিণতি হবে।’

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানীর সমর্থনে এবং ছাতক উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র ও নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মোনাজাত করেন।

সাদিক কায়েম বলেন, “অতীতে ভারত আমাদের অনেক জুলুম-নির্যাতন করেছে। ফ্যাসিস্টরা দিল্লির দালালিকে প্রশ্রয় দিয়েছিল। বিভিন্ন দল দেশের খেটে-খাওয়া মানুষদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসে রক্ত চুষে খেয়েছে।

এই স্বাধীন বাংলাদেশে এখন আর সেই স্বৈরাচারী মনোভাব চলবে না। বাংলাদেশ চলবে দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে।”

বাংলাদেশ পরিচালনা করতে হলে দেশের মাটি ও মানুষের নেতা হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে গণমানুষের নেতা হতে হবে। কাজ ও যোগ্যতার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। তা না করে হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করতে চাইলে দেশের জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখাবে।”

এ সময় তিনি ছাত্র ও নাগরিক সমাবেশে উপস্থিতিদের উদ্দেশে বলেন, “এই ছাত্র-নাগরিক সমাবেশে কোনো চাঁদাবাজ নেই, টেন্ডারবাজ নেই, ধর্ষক নেই। আগামীর বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজমুক্ত ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে। এই আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী একজন যোগ্য ব্যক্তি। তাকে নির্বাচিত করে এই ছাতক-দোয়ারা অঞ্চলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আন্দোলন করতে চাই। গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে অনেক শাসক এসেছে। আমরা অনেক নেতা নির্বাচন করেছি। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তি আসেনি।

এ সময় তিনি জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়ে বলেন, “সুনামগঞ্জ-৫ আসনের যে নেতা সবার প্রিয়—অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী—নির্বাচিত হয়ে এসে এই অঞ্চলের মানুষের মুক্তির জন্য এবং শিল্পনগরী ছাতক-দোয়ারাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে কাজ করবেন।”

ছাতক উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আকবর আলীর সভাপতিত্বে ছাত্র ও যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিনুর রহমান, সর্বমিত্র চাকমা, সঙ্গীতশিল্পী মোহাম্মদ সালমান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন— সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদার, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান তুহিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, দোয়ারাবাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা. হারুন অর রশীদ, সিলেট কোতোয়ালি থানা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

ছাতক উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজ জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে ছাতক-দোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।



আরও পড়ুন:

banner close
banner close