বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কাউকে শিবিরে যুক্ত করা নয়; বরং ভালো মানুষ ও দক্ষ শিক্ষার্থী তৈরি করাই শিবিরের মূল উদ্দেশ্য। একসময় কিছু দালাল রাজনীতিবিদ আমাদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু আজকের সচেতন শিক্ষার্থীরা সেই অপপ্রচারকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠে ইসলামী ছাত্রশিবির কলেজ শাখার আয়োজনে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিবির সভাপতি আরও বলেন, ‘সমাজে যে ভাঙন, বিভক্তি আর অপকর্মের বিস্তার দেখা যায়, তা রোধে শিক্ষার্থী সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। একজন সত্যিকারের শিক্ষার্থী যখন নিজের চরিত্র নির্মাণ করে, তখন তার পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ—রাষ্ট্র সবার ওপরই তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা নিজেদের সময় নষ্ট না করে জ্ঞানার্জনে মনোযোগী হোক, সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হোক। দেশের উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা বা অশান্তির পক্ষে নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, মানসিক-সামাজিক উন্নয়ন এবং নেতৃত্বগুণ বিকাশে কাজ করতে চাই। এজন্য প্রয়োজন পরিবার, শিক্ষক, সমাজ এবং প্রশাসনের সহযোগিতা। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণদের সঠিক পথ দেখাতে পারলে দেশও সঠিক পথে এগোবে।’
গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুনের সভাপতিত্বে ক্যারিয়ার সেশন পরিচালনা করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবির শাখার সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শাওন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ড. রহিদুল ইসলাম নিরব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফেরদৌস সরকার রুম্মান, জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিম এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সরকার হাশেমুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আজ প্রযুক্তি, জ্ঞান ও নৈতিকতা—এই তিন শক্তিকে ধারণ করে এগিয়ে চলছে। তাদের সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করাই আমাদের দায়িত্ব। ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, চরিত্র গঠন এবং ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করে আসছে। আগামী দিনের বাংলাদেশ পরিচালনা করবে আজকের এই তরুণ প্রজন্ম। তাই তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা অত্যন্ত জরুরি।’
আরও পড়ুন:








