সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও তদন্ত প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযোজনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের দাবি, অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে উপপরিদর্শক সামচুল আলম আদালতে ভুল তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যার কারণে পরিবারের তিন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে মামলার আসামি হয়ে আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন নারী দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ১৭ মার্চ সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য থানায় অবস্থানকালে এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে তিনি থানার বাইরে এসে জানতে পারেন পুলিশ সদস্যরা অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
মামলার নথি সংগ্রহের পর জানা যায়, অভিযোগকারী তিনজনকে অপহরণ ও আর্থিক দাবি তোলার অভিযোগে সাংবাদিক, তার ছোট ভাই ইমরান এবং পরিবারের আরেক সদস্যকে আসামি করেছেন। ভুক্তভোগীর দাবি, মামলাটি সম্পূর্ণ অসত্য এবং পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে দায়ের করা হয়েছে।
জামিন নেওয়ার পর ভুক্তভোগী উপপরিদর্শক সামচুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন, তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে এমন তথ্য যুক্ত করা হয়েছে যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এর পর থেকে পরিবারের তিনজন সদস্য নয় মাস ধরে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে যাকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই ব্যক্তিও জানান যে তিনি কোনো বয়ান দেননি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তার পারিবারিক বা ঘনিষ্ঠ কোনো সম্পর্ক নেই। তার ভাষ্য, পারিবারিক ভুল–বোঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, তবে তাকে সাক্ষী হিসেবে কেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
অভিযোগের বিষয়ে উপপরিদর্শক সামচুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মামলার বাদীকে তার বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরিবারের একাধিক সূত্র জানায়, মামলা করার পরদিন তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় মহলে এ ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়া ও তথ্যসংগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন:








