নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সিরাজুল মণ্ডলের গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা ১৪৯ বস্তা রাসায়নিক ডিএপি সার উদ্ধার করেছে কৃষি অফিস।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সারগুলো জব্দ করে উপজেলার একটি গুদামে রাখা হয়েছে।
এর আগে উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নে পাটলের গোয়েন্দা পাড়ার একটি বাগানের ভেতর সৈনিক ট্রেডার্স অভিযান চালিয়ে সারগুলো উদ্ধার করা হয়। সৈনিক ট্রেডার্সের মালিক শিহাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম একজন কীটনাশক ও খুচরা ব্যবসায়ী। সার সংকটের এই সময়ে বিপুল সার মজুত রাখার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসকে অবগত করা হয়। এ তথ্য জেনে উপজেলা কৃষি অফিসার ঘটনাস্থল থেকে সারগুলো উদ্ধার করে জব্দ করে।
পাইকবান্ধা গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম ও ওমর ফারুক বলেন, আমরা দিনের পর দিন সার না পেয়ে ধান ও সবজি চাষে ক্ষতির মুখে পড়ছি। অথচ অবৈধভাবে কেউ যদি এতোগুলো বস্তা সার মজুদ করে রাখে- এটা কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।
বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী সিরাজুল মণ্ডল বলেন, আমি একজন খুচরা সার ব্যবসায়ী। আমার সারের দোকানে এমওপি ও ইউরিয়া সার পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। তবে ডিএপি সার নেই। আর এখানে যেসব সার ডিলার আছেন তাদের কাছে সার পাওয়া যায় না। নওগাঁর নয়ন শীল নামে একজন সার ডিলারের মাধ্যমে কোম্পানিতে টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডিএপি সারগুলো আমার গুদামে নিয়ে আসছিলাম। আমি সারগুলো নিয়েতো আর খাবো না বা অন্য জেলায় বিক্রি করছি না। পরে কৃষি অফিস সারগুলো জব্দ করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৪৯ বস্তা সার উদ্ধার করে উপজেলার একটি গুদামে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান মিলন বলেন, আমি ও কৃষি অফিসার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সারের পয়েন্টগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। দুপুরে হঠাৎ করে জানা যায়- সেখানে একটি ট্রাক থেকে সারগুলো নামানো হচ্ছিল। তবে আমি ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। কৃষি অফিসার সারগুলো জব্দ করে। কোথা থেকে সারগুলো আসছে তা জানা গেলে নিষ্পত্তি করা সহজ হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:








