চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আয়োজিত কেরাত প্রতিযোগিতায় ইরান, মিসর, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অতিথি ও প্রতিযোগিরা অংশ নিয়েছে। এসময় বিভিন্ন দেশ থেকে উপস্থিত প্রতিযোগিরা মঞ্চে উঠলে দেশভিত্তিক স্লোগানের মাধ্যমে তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
তবে ওই অনুষ্ঠানের শুধু ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানটিই কাটছাট করে একটি বিতর্কিত সংবাদ প্রচার করেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা প্রথম আলো। সংবাদটি প্রচারের পর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্লোগান দেয়া ব্যক্তির নাম ক্বারী এমদাদ। তিনি ঢাকার লালবাগে ‘মাহাদুল কিরাত বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক। সেদিনের মাহফিলে তিনি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পাকিস্তান, ইরান, মিসর, ফিলিপাইন থেকে আসা প্রতিযোগিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। তাদের সম্মান জানাতেই দেশের নাম ধরে আলাদাভাবে দেয়া হয়েছে স্লোগান।
প্রথম আলোর সংবাদে বিতর্কিত হওয়া ক্বারী এমদাদ ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি জানান, মাইকে আলোচনা ও কুরআন তেলাওয়াত করার সময় বিদেশী কারিগররা মঞ্চে উঠলে তিনি প্রত্যেক দেশের নাম ধরে স্লোগান দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। সেই স্লোগান থেকে শুধুমাত্র পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান কাটছাট করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ তাওহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলা এডিশনকে জানান, প্রতিবছরই বিদেশি অতিথীদের একইভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ অংশটুকু কাটছাট করে পুরো আয়োজনকে বিতর্কিত করেছে প্রথম আলো।
অথচ এখান থেকে অত্যন্ত সুপরিকল্পতিভাবে বক্তব্য কাটছাট করে গুজব সৃষ্টি করেছে প্রথম আলো। একইসাথে এনিয়ে জনমনে তৈরী হয়েছে বিভ্রান্তি। পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারতের মদদপুষ্ট ‘প্রথম আলো’ ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের নিয়ে বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলে মুসলমানদের জঙ্গি তকমা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশের প্রথম সারির পত্রিকাটি। ২৪-এর পরবর্তী সময়েও পত্রিকাটি কৌশলে ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সন্দীপের আলোচিত ঘটনাটি তারই অংশ বলে দাবি করেছে দেশের আলেম ওলামাগণ।
এই পরিস্থিতিতে, ইসলাম প্রিয় বাংলাদেশে প্রথম আলোর প্রচার করা গুজব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সচেতন মহল।
আরও পড়ুন:








