চলতি শীত মৌসুমে দিনাজপুরে তৃতীয়বারের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি একই সঙ্গে চলতি শীত মৌসুমে জেলার এবং সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৮১ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার, যা মঙ্গলবার ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সকালে কিছু এলাকায় হালকা কুয়াশার দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলোও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। অন্যদিকে সকাল-সন্ধ্যা মানুষকে শীতের জন্য গরম কাপড় পরতে দেখা যাচ্ছে।
খানসামা উপজেলার বাসিন্দা মণ্ডল বলেন, ‘বয়স হয়েছে একটু শীতেই আমাদের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। ফজরের নামাজ পড়তে গেলে গায়ে চাদর মোড়াতে হচ্ছে।’ রসুলপুর গ্রামের গীতা রানী বলেন, ‘সকালে ঠান্ডা ছিল, এখন রোদ উঠেছে তবে হাত-পাগুলো ঠান্ডায় কাঁপাচ্ছে। শীতে আজকেই বেশি মনে হচ্ছে।’
শেখপুরা এলাকার জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মৌলভি রহমত আলী বলেন, ‘ওজু করার সময় ঠান্ডা পানিতে হাত পা অবস হয়ে যাচ্ছে। এবার বুঝি বেশি ঠান্ডা পড়বে।’ দিনাজপুর সদরের বাঁশবাড়ি এলাকার বিমল চন্দ্র বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে আত্রাই নদী সকালবেলা নদী পার হইয়া খ্যাতত যাবার সময় বেশি ঠান্ডা মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘জেলায় একটু একটু করে শীত বাড়ছে। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে দিনাজপুরে এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।’
আরও পড়ুন:








