সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে তৃতীয় শ্রেণীর প্রান্তিক পরীক্ষা গ্রহণে অস্বীকৃতি ও বাধা প্রদানের অভিযোগে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাহবুবর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
গেল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেছের আলী স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ৭ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। আন্দোলনের বিষয়টি সরকারের নজরে এলে, গত ১০ নভেম্বর সচিবালয়ে অর্থ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উত্থাপিত দাবিগুলো যুক্তিসঙ্গত বিবেচনায় নিয়ে সর্বাত্মক সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। পরে সরকারি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, আশ্বাস পাওয়ার পরও শিক্ষক নেতা মাহবুবর রহমানসহ অন্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য ও ভিডিও প্রকাশ করেন এবং ১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানান। এই ভিডিওগুলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে এলে মহাপরিচালক কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরপরও তারা পরীক্ষা ও বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ঘোষণা দেন।
এর ফলে ১ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু শিক্ষক কর্মবিরতি পালন করেন, যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত করে এবং অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, ২০১৮–এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—তার ব্যাখ্যা তিন কর্মদিবসের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে শোকজ নোটিশ প্রাপ্ত শিক্ষক মো. মাহবুবর রহমান জানান, শোকজ, বিভাগীয় মামলা, সাময়িক বরখাস্ত হলো চাকুরির অংশ সুতরাং ইস্পাত কঠিন দৃঢ় মনোবল নিয়ে কর্মসূচি সর্বাত্মক সফল করুন
আরও পড়ুন:








