বুধবার

৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

জয়পুরহাটে ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারে তিন জনের মৃত্যু

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৫

শেয়ার

জয়পুরহাটে ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারে তিন জনের মৃত্যু
একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ স্বজনরা। ছবি : সংগৃহীত

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের বড়মাঝিপাড়া গ্রামে ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, বড়-মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত খাজামদ্দিনের স্ত্রী সালেহা বেগম (৬৫), তার মেয়ে বিলকিস বেগম (৩৮) ও সালেহা বেগমের নাতি তুহিন হোসাইন (২৫)। নিহত তুহিন জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসার রোগে ভুগছিলেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গেল শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিলকিস বেগমের শাশুড়ি শেফালী বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। বিলকিস তাকে দেখাশোনা করতে গিয়ে নিজেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

পরদিন রোববার সকালে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একইদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হন বিলকিসের মা সালেহা বেগম। আর আগে থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সালেহা বেগমের নাতি তুহিন হোসাইন। রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিনের মৃত্যু হয়। সোমবার সকালে তাকে দাফন করা হয়। এরপর একই দিন দুপুরে হাসপাতালে মারা যান সালেহা বেগম। মায়ের মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর বিলকিস বেগমেরও মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, মাত্র ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত বিলকিসের স্বামী ছানোয়ার হোসেন জানান, তার মা, স্ত্রী ও শাশুড়ি তিনজনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমার মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু তার শাশুড়ি ও স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৫ মিনিটের ব্যবধানে মারা গেলেন। এর আগে, রোববার রাতে হাসপাতালে তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে তুহিন মারা গেছেন।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জানান, হাসপাতালে যে দুজন মারা গেছেন, তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। তারা ডায়রিয়ায় নয়, শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। তাঁরা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন না।



banner close
banner close