পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রধারী যুবক তুষার হোসেনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ধানবান্ধি এলাকার জে সি রোডের মতিন সাহেবের ঘাট সংলগ্ন স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি জানায়, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সোর্স ও দীর্ঘ ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তুষারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ডিবির ওসি মো. রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে। তুষার ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া মহল্লার তাহের হোসেনের ছেলে।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তুষার তার হেফাজতে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেখানো মতে ভেলুপাড়া এলাকায় মো. রবিউল ইসলামের ফাঁকা জমিতে, মো. আতিকের ইটের প্রাচীরের পশ্চিম পাশে মাটি খুঁড়ে প্রায় ছয়–সাত ইঞ্চি নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি লোডেড পিস্তল ও ম্যাগাজিনসহ দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গত ২৭ নভেম্বর ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল গণসংযোগে গেলে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এর অনুসারী মক্কেল মৃধার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। হামলা, গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ওই ঘটনায় জামায়াতের অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে তুষার মণ্ডল প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে দেখা গেলে সেই ভিডিও দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন:








