ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় একসময় গম ও সরিষার চাষ এখন প্রায় অস্তিত্ব সংকটে। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে গম-সরিষা চাষে প্রত্যাশিত ফলন না পাওয়ায় তারা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারছেন না। অন্যদিকে ধানের উৎপাদন তুলনামূলক বেশি, বাজারও স্থিতিশীল।
ফলে কৃষকরা বেশি লাভের আশায় ধানকেন্দ্রিক কৃষিকাজে ঝুঁকছেন। তাদের ভাষায়, গম-সরিষা চাষে আর আগের মতো ফলন নেই, তাই কষ্ট করে আবাদ করে লাভ না হলে ধানই ভরসা।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, জলবায়ুর পরিবর্তন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, মাটির পূর্বের উর্বরতা কমে যাওয়া, সার-বীজের উচ্চমূল্য এবং রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সমস্যাগুলো গম ও সরিষা আবাদে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একসময় উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে শীত মৌসুমে সরিষার হলুদ ফুলে সেজে উঠতো কৃষিপ্রান্তর, পাশাপাশি গমের ক্ষেতেও দেখা যেত ব্যাপক চাষাবাদ। এখন সেই দৃশ্য অনেকটাই অতীত। অধিকাংশ জমিই ধানচাষের আওতায় চলে গেছে, যার ফলে রবি মৌসুমের ঐতিহ্যবাহী ফসলগুলো বিলুপ্তির পথে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাংলা এডিশনকে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে গম ও সরিষা চাষে প্রণোদনা, বীজ বিতরণ, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। তারপরও কৃষকরা কেন গম-সরিষা চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন তা তদন্ত করে দেখা হবে।
তিনি মনে করেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নত জাতের বীজ, সঠিক পরামর্শ এবং কৃষকদের মাঠপর্যায়ের সহযোগিতা বাড়ানো গেলে নাসিরনগরে আবারও গম ও সরিষার পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
আরও পড়ুন:








