পাবনার ঈশ্বরদীতে জেলা জামায়াতের আমির ও পাবনা ৪ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল ও জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্র হাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই যুবকের পরিচয় মিলেছে৷
শনিবার দুপুরে তার পরিচয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নুর৷
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইরাল যুবকের নাম তুষার মণ্ডল। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া এলাকার তাহের মণ্ডলের ছেলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় বিএনপি ও জামাতের সংঘর্ষের সময় একটি যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ফোটাচ্ছেন। মুহূর্তেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এই যুবকের দায়ভার নিচ্ছেনা কোন দলই।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়গড়ি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার কাজে যান জেলা জামায়াতের আমির ও পাবনা ৪ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল। জামায়াতের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এ আসনের বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকেরা পূর্ব শত্রুতার জেরে জামাত নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবকটিও তাদের দলের নয়।
এদিকে পাবনা ৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও তার অনুসারীরা অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগের তীর ছেড়ে জামাতের দিকে। তাদের অভিযোগ অস্ত্র হাতে যুবকটি বিএনপি বা তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নয়। তিনি জামায়াত আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের সক্রিয় কর্মী। তার ভাতিজা আল মামুনের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কার্যক্রম করে আসছেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ রাতের বেলায় প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেও ঘড় থেকে বের হচ্ছেন না। প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, ঘটনার পর উভয়পক্ষ থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী থানা দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার ছেলে বাঁধন হাসান আলিম বাদি হয়ে ৩২ জন জামায়াত নেতার নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাতনামক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় পাবনা জেলা জামায়াতের আমির এবং পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে একই থানায় ৩৮ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক মক্কেল মৃধাকে।
এছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই পাবনা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের আত্মীয় এবং অনুসারী।
আরও পড়ুন:








