মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আয়োজনে এ কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সব টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট অংশ নেন।
কর্মবিরতির কারণে এ সময়ে স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন নিয়মিত কাজ ব্যাহত হয়। বিশেষ করে এক্স-রে, ল্যাব, প্যাথলজি, ডেন্টাল ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
কর্মবিরতি চলাকালে বক্তব্য রাখেন ফার্মাসিস্ট মো. মাহবুবুর রহমান, ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট রিফাত পাঠান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আশাদুল ইসলাম সবুজ, ফার্মাসিস্ট খোকন পাটোয়ারী, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং টেকনোলজিস্ট সাজ্জাদুল ইসলাম মিলন, প্যাথলজি বিভাগের সোলাইমান হোসেন, ফার্মাসিস্ট ফারুক মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা-পূর্ব সময় থেকে শুরু হওয়া পেশাগত যাত্রায় ৩১ বছর ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা ১০ম গ্রেডের ন্যায্য দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু একের পর এক দাপ্তরিক জটিলতা, কোয়ারি ও প্রশাসনিক বিলম্বের কারণে আজও সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। একই সমযোগ্যতার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমাধারী, নার্স ও কৃষিবিদরা ১০ম গ্রেড পেলেও টেকনোলজিস্ট এবং ফার্মাসিস্টরা এখনো ১১তম গ্রেডেই আটকে আছেন।
তারা আরও বলেন, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, রেডিওথেরাপি, প্যাথলজি, ফিজিওথেরাপি, ডেন্টালসহ রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন টেকনোলজিস্টরা। অন্যদিকে ফার্মাসিস্টরা ঔষুধ সংরক্ষণ, বিতরণ, মাননিয়ন্ত্রণ, মেডিসিন স্টোর পরিচালনাসহ স্বাস্থ্যসেবার অপরিহার্য দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ তাদের ন্যায্য গ্রেড দীর্ঘদিন ঝুলে আছে।
পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ৪ ডিসেম্বর সারাদিনব্যাপী ‘কর্মস্থল শাটডাউন’ পালন করা হবে বলে ঘোষণাও দেন বক্তারা।
তারা দ্রুত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান এবং দাবি আদায় না হলে সারাদেশে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন:








