ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতা বেলা ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। সংঘর্ষের পরিসর ছড়িয়ে পড়ায় পুরো ইউনিয়নের মানুষ এতে জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল বালিয়াগট্টি বাজার ও আশপাশের এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি দ্রুত ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর–লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে গট্টি ইউনিয়নের নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বরের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুজনই ফরিদপুর–২ আসনের বিএনপির প্রাথমিক তালিকাভুক্ত প্রার্থী এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাদের অনুসারীরা সকালে ঢাল, সরকি ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
হাবেলি গট্টি গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব বাসিন্দা আলেপ শেখ নুরু মাতুব্বর গ্রুপের সমর্থক। তিনি নিজ বাড়িতে আহত অবস্থায় আটকা পড়ে আছেন। তাঁর স্বজন কবির হোসেন জানান, সকালে বাড়িতে থাকা অবস্থায় আলেপ শেখের পায়ে কোপ মারা হয়েছে, কিন্তু তীব্র সংঘর্ষের কারণে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, জাহিদ মাতুব্বরপন্থিদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বালিয়া বাজারসংলগ্ন এলাকার ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তির পাঁচটি গরু লুট করে নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সালথা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (ভারপ্রাপ্ত) এসআই মারুফ হাসান বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পরে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন:








