চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বাঁশখালী ইকোপার্কের হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শীলকূপ ও চাম্বল ইউনিয়নের ৯ জন কৃষকের হাতে মোট ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার অনুদানস্বরূপ চেক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ। তিনি বলেন, 'বন্যহাতির কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের ওপর আক্রোশ প্রকাশ করা যাবে না। সরকার ক্ষতিপূরণের আবেদন গ্রহণ করছে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। বৈদ্যুতিক তার বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে হাতি হত্যা আইনত দণ্ডনীয়। হাতি হত্যা করলে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।'
তিনি আরও জানান, বনে অবৈধভাবে কৃষিকাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়দের সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য, নূর জাহান এবং বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঈসরাইল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পুঁইছড়ি বিট কর্মকর্তা কামরুল হাসান, নাপোড়া বিট কর্মকর্তা অঞ্জন কান্তি,, চাম্বল বিট কর্মকর্তা বিজয় মং মারমা, সংবাদকর্মী কল্যাণ বড়ুয়া, মিজান বিন তাহের, শিব্বির আহমদ রানা, তাফহিমুল ইসলাম, প্রকাশ বড়ুয়া ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।
বক্তারা জানান, বাঁশখালী ইকোপার্ক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে একটি মাস্টার প্ল্যান পিডি'তে জমা দেওয়া হয়েছে। বাঁশখালী দীর্ঘদিন ধরে সমৃদ্ধ বনাঞ্চল হিসেবে পরিচিত, তাই এর পরিবেশ সংরক্ষণ ও আকর্ষণ বাড়াতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
আরও পড়ুন:








