ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় প্রকাশ্য ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন মুক্তার মিয়া নামের এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মুক্তার মিয়া কাঠালকান্দি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কচুয়া গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে মুক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারে টানাপোড়ন শুরু হয়। ছেলের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও মেয়ের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর থেকেই দুই পক্ষের সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তার একটি অটোরিকশায় চাতলপাড় বাজার থেকে কচুয়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গ্রামে ঢোকার মুখে তার অটো থামিয়ে দেন কয়েকজন যুবক। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। মুহূর্তের মধ্যেই হাত, পা ও পেটে একাধিক আঘাতে মুক্তার রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের পরিবার দাবি করেছে, ‘এটি ছিলো পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের বড় ভাই আক্তার হোসেন বলেন, প্রেমের সম্পর্কের কারণে আগেও হুমকি ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমার ভাইকে পরিকল্পনা করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘ঘটনার পর কচুয়া ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি মাকছুদ আহাম্মদ।
আরও পড়ুন:








