দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তার (ভিজিএফ) চাল খোলা বাজারে বিক্রির দায়ে বান্দরবানের দুই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিন জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন, বান্দরবান সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাচ প্রু মার্মা (সাবু) ও রাজবিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মারমা এবং চাল গুদামের ম্যানেজার রতন কান্তি বড়ুয়া। এছাড়া সম্পৃক্ততা পাওয়া না যাওয়ায় চাল ব্যবসায়ী আবুল কাশেমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বান্দরবান চাল বাজার গলিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের চালের গুদাম থেকে ২ হাজার ৮০০ কেজি ভিজিএফের চাল ও খাদ্য অধিদপ্তরের ৯২টি চালের খালি বস্তা জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে চাল গুদামের ম্যানেজার রতন কান্তি বড়ুয়া জানান, তিনি সাচ প্রু মার্মার কাছ থেকে ১ হাজার কেজি ও ক্যসিংশৈ মারমার কাছ থেকে ৩ হাজার ৬০০ কেজি চাল কিনে নিয়েছেন। এই ঘটনায় পরদিন তৎকালীন বান্দরবান সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় দুর্নীতি দমন কমিশন। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম রনি জানান, তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে কর্মহীন নিম্ন আয়ের অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য দুই চেয়ারম্যানকে ১০ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা সেখান থেকে ৪ হাজার ৬০০ কেজি চাল রতন কান্তি বড়ুয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রতন কান্তি বড়ুয়াকে ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:








