জামালপুরের মেলান্দহে গ্রীন বায়োটেকনোলজি নামে একটি কারখানায় ফাঁকা গুলি ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল হুমায়রা জেমি, বরগুনার মরখালী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. মাসুম, মেলান্দহ উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মোহাম্মদ সানি, বয়রাডাঙ্গা গ্রামের মো.শাহজাহানের ছেলে লিখন আহমেদ সাকিব ও একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মোশারফ মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে জান্নাতুল হুমায়রা জেমি ও সামিউল ইসলাম জাম্বুর নেতৃত্বে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রীন বায়োটেকনোলজি কারখানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পরে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে কারখানায় হামলা চালায়। গুলি ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের শব্দে গ্রামবাসীরা এগিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দুষ্কৃতিকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় তিনজনকে হাতে-নাতে আটক করেন। বাকিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে আরও দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
গ্রীন বায়োটেকনোলজির ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ভোরে পরিকল্পিতভাবে ওই চিহ্নিত সস্ত্রাসীরা রড, হকিস্টিক, আগ্নেয়ান্ত্র নিয়ে কারখানায় হামলা চালায়। এ সময় পেট্রোল বোমা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রথমে তারা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। পরে কারখানার গেটেও ভাঙচুর করে। এর আগেও এই দলটিই চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ আছে।
মেলান্দহ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারখানায় হামলার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যাক্তিদের আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন:








