রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সন্দ্বীপে বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৯

আপডেট: ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:২০

শেয়ার

সন্দ্বীপে বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

সন্দ্বীপের উপকূলীয় বন কেটে সরকারি জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার অনুসারীদের নিয়ে মগধরা ইউনিয়নের এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বন রাতের আঁধারে কেটে উজাড় করছেন তিনি।

আর নদী ও সড়ক পথে এসব বনের গাছ স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটাসহ হাতিয়া ও সুবর্ণচরে পাচার করে দিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এতে দ্বীপ উপজেলার প্রধান উপকূল রক্ষা বাঁধ মারাত্মক হুমকিতে পড়ে নদীভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে সরকারি অর্থে লাগানো হাজার হাজার গাছ ধ্বংস হচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মগধরা এলাকার বিস্তৃত বনটি ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর কোস্টাল গ্রীণবেল্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বনায়ন করা হয়। যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চলকে সুরক্ষা দেবে। অভিযোগ ওঠেছে, বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলম প্রকাশ্যে বন উজাড় করলেও উপকূলীয় বন বিভাগ, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারাও ভয়ে মুখ খুলছেন না। স্থানীয়ভাবে প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মগধরা ইউনিয়নে দ্বীপ সুরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন বন বিভাগের সৃজিত বনের প্রায় ২০ একর জায়গার কেওড়া ও অন্যান্য ম্যানগ্রোভ প্রজাতির হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে অসংখ্য গাছের গুঁড়ি দৃশ্যমান। কাটা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়াও কাটা গাছের টুকরো কুড়াচ্ছেন স্থানীয় নারীরা।

সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী প্রতিরক্ষা-বন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নদীভাঙনের ঝুঁকি ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাবে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।



banner close
banner close