হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। স্থানীয় জমিদার নবীণ বাবুর দান করা জমিতে ১৯১৮ সালে বাঁশ–কঞ্চির ঘর দিয়ে যাত্রা শুরু করা এ বিদ্যালয়টি বর্তমানে পরিণত হয়েছে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বহু গুণী শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে দেশ-বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তুলানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজির অধ্যাপক বিজ্ঞানী ড. এস এ মজিদ, যিনি ২০১৭ সালে নোবেল প্রার্থীতার তালিকায় ছিলেন।
এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন ও সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন। র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এস এম মিজানুর রহমান, সাবেক নৌ সচিব অশোক মাধব রায়সহ বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য ব্যক্তিত্ব বিদ্যালয়টির গৌরব বৃদ্ধি করেছেন।
ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বহু শিক্ষার্থীও নিজেদের কর্মগৌরবে স্কুলের মান বাড়িয়েছেন। সাংবাদিক সমাজেও এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ তালুকদার জানান, সাবেক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ চলছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানান, প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আব্দুন নূর চৌধুরীর অবদান বিদ্যালয়ের ইতিহাসে অনন্য।
২০১৮ সালে ‘শতবর্ষ পূর্তি উৎসব’ উপলক্ষে আয়োজিত মিলনমেলায় দেশ-বিদেশের অসংখ্য সাবেক শিক্ষার্থী অংশ নেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক ও ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহিবুর রহমান জানান, নতুন ভবনের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি। এডহক কমিটির সভাপতি কনিক চন্দ্র শর্মা বিদ্যালয়ের সুনাম ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত মূল্যায়ন কার্যক্রম চালু করেছেন।
আরও পড়ুন:








