রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

প্রাণিসম্পদ কার্যলয়ের ২১টি দেবদারু গাছ কেটে ফেললেন কর্মকর্তা

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৪

শেয়ার

প্রাণিসম্পদ কার্যলয়ের ২১টি দেবদারু গাছ কেটে ফেললেন কর্মকর্তা
ছবি: বাংলা এডিশন

শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভিতরে থাকা ২১ টি দেবদারু গাছ কেটে ফেললেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। এ নিয়ে পরিবেশবাদী থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মীসহ সচেতন নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালনের কথাও জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

২৪ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছ কাটার ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানাযায়, ২৬ নভেম্বর জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কার্যালয়ে সারাদেশের ন্যায় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। তাই এই প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে অফিসের ভিতরে প্যান্ডেল করা হবে। প্যান্ডেল করতে জায়গা সংকলন না হওয়ায় রোববার গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।

পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী অধিকার কর্মী আরিফুজ্জামান পৃথিল বলেন, আমরা যারা সবুজবাদী, পরিবেশবাদী তারা এ গাছ কাটার সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত মন্দ কাজ বলছি। অনুষ্ঠান করতে হয়, জেলায় অনেক জায়গা আছে। এখানে গাছ কেটে কেন করতে হবে।

পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের শেরপুরের যুগ্ম আহবায়ক জিহাদ মিয়া বলেন, সরকারি জায়গায় এবং প্রাণী সম্পদ কার্যলয়ের ভিতরের এই গাছগুলো সরকারি টাকায় লাগানো হয়েছিল। তাই এই দেবদারু গাছগুলো আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আর রাষ্ট্রীয় সম্পদ রাষ্ট্রের একজন আমলা কিভাবে কেটে ধংস করে ফেলে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, আসলে গাছগুলো কোন কাঠ গাছ নয় সৌন্দর্য বর্ধনের অলংকরণ গাছ, এগুলো আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্রমিকরা অনিচ্ছাকৃতভাবে কেটে ফেলেছে। তবে আমাদের প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ শেষ হলে আবারও ওখানে গাছ লাগানো হবে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির জানায়, প্রাণিসম্পদ বিভাগের গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নাই, তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছিনা।



banner close
banner close