চাঁপাইনবাবগঞ্জ-০২ আসনে দলের ঘোষিত প্রার্থী ও ২০১৮ সালে নির্বাচিত সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আবারও মশাল মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ভোলাহাট উপজেলার আম ফাউন্ডেশন চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুয়েটের আহসানুল্লাহ হল সংসদের সাবেক ভিপি ও ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদের সমর্থকরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
সমাবেশে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি ২০১৮ সালের ‘রাতের ভোটে’ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদে গিয়েছিলেন। গত ১৭ বছরের আন্দোলন-নির্যাতনের সময় তিনি তৃণমূলে পাশে দাঁড়াননি, এমনকি খোঁজও নেননি বলে অভিযোগ তোলা হয়। বক্তারা অবিলম্বে আমিনুল ইসলামের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ত্যাগী নেতাকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ার দাবি জানান।
তারা আরও বলেন, এ আসনে ১২–১৩ জন যোগ্য মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তাদের যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দিলে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে। সাবেক এমপির বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশে না থাকা, হামলা ও হত্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগও সমাবেশে তুলে ধরা হয়। দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।
মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সোহরাওয়ার্দী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সেলিম, দপ্তর সম্পাদক বাকিউর রহমান বাকি, দলদলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
এ দাবিতে গত ২১ নভেম্বর ভোলাহাটে মতবিনিময় সভা, ২০ নভেম্বর রহনপুরে মশাল মিছিল এবং ১৬ নভেম্বর নাচোলে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৫ ও ১৪ নভেম্বর ভোলাহাট ও গোমস্তাপুরে আরও দুটি মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ১১ নভেম্বর নাচোল উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং ৬ নভেম্বর মনোনয়নবঞ্চিত কয়েকজন নেতা পৃথকভাবে আমিনুল ইসলামকে বয়কটের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:








