রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

শৈলকুপায় যুবককে অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৯

শেয়ার

শৈলকুপায় যুবককে অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ছবি: বাংলা এডিশন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর দুইদিন পর হত্যার অভিযোগ তুলে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে রাসেল শেখ (২৮) নামের এক যুবককে অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

রবিবার দুপুরে উপজেলার কবিরপুরে ভুক্তভোগীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাসেল শেখ শৈলকুপা পৌরসভার ঝাউদিয়া গ্রামের পরিবহন শ্রমিক ইউনূস আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউনূস আলী বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর শনিবার সকালে ঝাউদিয়া গ্রামের আমার প্রতিবেশী আজাদ মৃধার ২ বছর বয়সী শিশুপুত্র আবরার খেলার সময় বাড়ির পাশে কুমার নদে কচুরিপানার ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। যা পরিবারের বয়ান অনুযায়ী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় পারিবারিকভাবে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। অথচ ঘটনার ২ দিন পর ১৭ নভেম্বর সকালে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মৃত শিশুর বাবা আজাদ মৃধা, তার ভাই আছাদ মৃধা, আমজাদ মৃধা এবং তাদের ১০/১২ জন লোক দলবেঁধে বাড়িতে এসে আমার ছেলে রাসেল শেখের উপর হত্যার অভিযোগ এনে তাকে রড, হাতুড়ি, রাম দা, শাবল দিয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি মারধর করে মারাত্মক জখম করে, টেনে-হিঁচড়ে মাথা-বুকশরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেমারধরের একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে কাঠাল গাছের সাথে বেঁধে কোমড়পিঠে একনাগারে আঘাত করতে থাকেঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে আমার নাবালক শিশুকন্যা আলিফা খাতুনকে জোরপূর্বক অপহরণ করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনায় ভীত-আতংকিত ও অসহায় অবস্থায় আমাদের কান্না ও আর্তচিৎকারে গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমার ছেলে রাসেলকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি করেন। এখন পর্যন্ত আমার ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তারা আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হতার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রশাসন ও বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এসময় রাসেল শেখের মা মধু খাতুন বলেন, ‘যে শিশুটি মারা গেছে সে প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে খেলাধুলা করতো। জমিজমা নিয়ে পূর্ব থেকেই তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ থাকায় সাজানো ও প্রতারণামূলকভাবে আমার নিরাপরাধ ছেলেকে দোষী করে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে মারধর, জখম ও বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়েছে। এসময় আমাকে এবং আমার দেড়বছরে নাতিকেও মারধর করে। আমরা এর বিচার চাই। আমার ছেলে যদি দোষী হয় পুলিশ তদন্ত করে তাকে শাস্তি দিবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা-উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



banner close
banner close