লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মডেল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিল পাঠানোর ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম মিঞার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষা অধিদপ্তর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই গুরুতর অভিযোগে কলেজটির ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
গত ১৯ নভেম্বর ২০২৫ প্রকাশিত মাউশির স্মারক নং ০৭.০২.০০০০.১০৫.২৭.০০৩৮.২০.৯৬৫ অনুযায়ী, মডেল কলেজ হাতীবান্ধা, লালমনিরহাটের ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (Stop Payment) তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
আদেশে তালিকাভুক্ত ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং কর্মচারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ জনের ইনডেক্স নম্বর N-২৪২২**** দিয়ে শুরু।
১. মো. মাহাবুব আলম, প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস)
২. মোসা. সাজেদা পারভিন, প্রভাষক (সমাজবিজ্ঞান)
৩. মোসা. আফরজা সুলতানা, প্রভাষক (জীববিজ্ঞান)
৪. মোসা. রিনা খাতুন, প্রভাষক (বাংলা)
৫. মো. আশরাফুজ্জামান, প্রভাষক (উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন)
৬. মো. আলমগীর কবির, প্রভাষক (ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা)
৭. মো. আমিনুর রহমান, (শারীরিক শিক্ষা)
৮.মো. সফিকুল ইসলাম, (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার শিক্ষক)
৯. মো. শাহীন আলম, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট
১০. মো. দবিয়ার রহমান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী
১১. মো. শোয়াইবুল ইসলাম, অফিস সহায়ক ও
১২. মো. কামাল হোসেন লুলু, নিরাপত্তাকর্মী
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মডেল কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকেই কলেজের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। মূলত, তিনজন অধ্যক্ষ দাবিদার হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। এই জটিলতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর হাসান আলীর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, তার মদদেই মডেল কলেজের বেতন দ্রুত অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে বিলটি পাঠানো হয়েছিল।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তদন্তে স্বাক্ষর জালিয়াতির প্রমাণ মেলায় শিক্ষা অধিদপ্তর ওই ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধের কঠোর আদেশ জারি করে।
এই ঘটনার ফলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:








