পুরান ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে নিহত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফির (২০) মরদেহ নিজ বাড়ি বগুড়ায় এসে পৌঁছানোর পর শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ পৌঁছালে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারিতে ভেঙে পড়েন।
মরদেহ পৌঁছানোর পর দুপুরেই বাদ যোহর বগুড়ার কেন্দ্রীয় সূত্রাপুর ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবী শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে নামাজগড় আঞ্জুমান-ই-মফিদুল কবরস্থানে রাফিউলকে দাফন করা হয়েছে। দাফন সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হলো এই মেধাবী শিক্ষার্থীকে।
রাফির বাবা অধ্যক্ষ ওসমান গণি রুস্তম বলেন, গুরুতর আহত রাফির মা নুসরাতকে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়ায় আনা হয়েছে। মাথায় একাধিক আঘাত থাকায় তাঁর অবস্থা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে স্বজনরা। তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও নুসরাতকে জানানো হয়নি রাফিউলের মৃত্যুর খবর।
রাফিউল বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২১ সালে এসএসসি এবং বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার—ভূমিকম্পের প্রাণঘাতী ঝাঁকুনিতে থেমে গেল সেই স্বপ্ন।
আরও পড়ুন:








