রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলীতে ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে প্রাণ হারানো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি (২০) আজ রাতেই তাঁর জন্মভূমি বগুড়ায় ফিরছেন। তবে নিথর দেহ হয়ে। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোক।
রাফির চাচা আব্দুস সালাম রুবেল জানান, রাফির বাবা ওসমান গণি রুস্তম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারাম সরকারি টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। ঘটনা সময় তিনি বগুড়ার বাড়িতে ছিলেন। হৃদয়বিদারক এ সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
স্বজনরা জানান, রাফি পরিবারে প্রথম সন্তান। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ও ভদ্রস্বভাবের জন্য পরিচিত ছিল সে। পরিবারের সকল আশা-স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই তরুণ। তাঁর অকাল মৃত্যুতে যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো পরিবার।
শনিবার বাদ যোহর বগুড়া শহরের সূত্রাপুরস্থ পৈত্রিক বাড়িতে রাফির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যেই মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন তাঁদের বাড়িতে। শোকের ছায়ায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো মহল্লা।
একটি ভূমিকম্পের অপ্রত্যাশিত ঝাঁকুনি কেড়ে নিল প্রাণবন্ত এক তরুণের জীবন। স্বপ্নভঙ্গের এই বেদনাই এখন বগুড়ার বাতাসে ভারী হয়ে আছে।
আরও পড়ুন:








