কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর ও চাঁদাদাবির অভিযোগ ওঠেছে কৃষকদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা বাদি হয়ে চিলমারী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) মামলা নথিভুক্ত ও আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি রমনা ইউনিয়নের দায়িত্বে আছেন।
অভিযুক্ত কৃষকদল নেতার নাম আবু হানিফা সাদ্দাম। তিনি উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব পদে রয়েছেন। এছাড়াও অপর দুইজন হলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হাফিজুর রহমান ও নাজমুল হুদা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরের পর সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ চলাকালে কৃষকদলের সদস্য সচিব আবু হানিফা সাদ্দাম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকর্মী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে টাকা দাবি ও উপকরণ বিতরণে বাধা দেন এরপর ওই কর্মকর্তার সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর এক পর্যায়ে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
ঘটনারদিন রাতে ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা বাদি হয়ে চিলমারী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি ভাবে প্রণোদনা বীজ সার বিতরণে বাধা দেয়া এবং শারিরীক ভাবে হেনস্তা করা আমার বোধগম্য হয় না। অভিযুক্তদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো দণ্ড নেই। তবে এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কনক চন্দ্র রায় জানান, আমাদের এখানে যারা চাকরি করছেন তারা বাইরে থেকে এসেছে। তাদের নিরাপত্তা ও সামাজিক ভাবে মানসম্মানের বিষয় রয়েছে৷ আমি চাই আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা।
অভিযুক্ত কৃষকদলের সদস্য সচিব আবু হানিফা সাদ্দামের সঙে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক লুৎফুল হায়দার লিপটন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, জেনে আপনাকে জানাতে পারব।
ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব রুকুনুজ্জামান খন্দকার রুকু জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনার কাছে শুনলাম। খতিয়ে দেখে আপনাকে জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন:








