বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, দেশে যারা রাজনীতি করেন তাদের অনেকেই রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন। ক্ষমতায় গেলে তারা সাধারণ মানুষের কথা ভুলে যান। আমরা এমন একটি নতুন রাজনীতি চাই—যে রাজনীতি হবে গরিবের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য, সমতার জন্য এবং ইসলামের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতের আয়োজিত গণ জমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, দেশে হাসপাতালসহ সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রয়োজন। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলোকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্ম একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে। গত ৫৪ বছরেও মানুষের প্রকৃত মুক্তি হয়নি। ইনসাফ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তরুণ প্রজন্ম ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। এবার ভোটের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের নতুন ইতিহাস গড়ার সময় এসেছে। নির্বাচনের দিন কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন হওয়ার আগেই নিজেদের ক্ষমতায় এসেছে বলে ঘোষণা দেয়—এ ধরনের ‘ফ্যাসিবাদী মানসিকতা’ আর চলতে দেওয়া হবে না।
সাবেক ভিপি অভিযোগ করেন, অতীতে আন্দোলনের সময় তাদের দমন-পীড়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময় হাসপাতালে নেওয়ার পরও হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে স্থানীয় নেতা ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ সহযোগিতা করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বপ্নের চৌগাছা ও ঝিকরগাছা গড়তে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রয়োজন। সত্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ ভাইয়ের মতো নেতৃত্ব দরকার।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত যশোর-২ (চৌগাছা–ঝিকরগাছা) আসনের এমপি প্রার্থী ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক মো. আরমান হোসেন,
যশোর-৩ আসনের প্রার্থী আব্দুল কাদে,
যশোর-১ আসনের প্রার্থী আজিজুর রহমা্,
যশোর-৫ আসনের প্রার্থী গাজী এনামুল হক,
জামায়াত নেতা গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ঝিকরগাছা উপজেলা আমীর আব্দুল আলিম।
সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও শিবির নেতা খালিদ বিন খলিল।
আরও পড়ুন:








